ওয়ালটনের মামলায় ডাচ-বাংলার সেলস ম্যানেজারসহ গ্রেফতার ১০
স্বাক্ষর ও তথ্য জালিয়াতি করে আরটিজিএস ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেলস ম্যানেজারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেলস ম্যানেজার জাকির হোসেন, ইয়াসিন আলী, মাহবুব ইশতিয়াক ভূঁইয়া, আনিছুর রহমান সোহান, দুলাল হোসাইন, মো. আসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও নজরুল ইসলাম।
এদের মধ্যে প্রথমে রাজধানীর ভাটারার ম্যাগপাই রেস্টুরেন্ট থেকে বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আরেকটি প্রতিষ্ঠানের ১২ কোটি টাকা ফান্ড ট্রান্সফারের পরিকল্পনার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানিয়ছেন, পুলিশ তাদের কাছ থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফান্ড ট্রান্সফার ফরম (ইএফটি), চেক বইসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করেছে।
গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সেলস ম্যানেজার জাকির ব্যাংকের সার্ভার থেকে ধনী গ্রাহকদের তথ্য সরবরাহ করতেন। তারা স্বাক্ষর ও তথ্য জালিয়াতি করে আরটিজিএস ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকা আরেকটি কোম্পানির নামে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ভাটারা থানার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখায় ওয়ালটন গ্রুপের একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে এবি ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গত ২৫ জানুয়ারি সকালে বিডি লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ট্রান্সফারের জন্য দুটি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ফরম জমা দেয়া হয়। বিষয়টি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে তিনি ওয়ালটন গ্রুপকে জানান। ওয়াল্টনের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখেন, আবেদনটি একটি প্রতারক চক্র করেছে। তখন তারা টাকা ট্রান্সফারের আবেদন স্থগিত করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ভাটারা থানায় ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একটি মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের রিমান্ডের জন্য আদালতে নেয়ার কথা রয়েছে।